Header Ads

শারদীয় দূর্গোৎসবের আগেই উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের কর্মচারীদের দশ মাসের বকেয়া বেতন দেওয়ার ঘোষণা

বিপ্লব দেবঃ হাফলং
শারদীয় দূর্গোৎসবের আগেই উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের কর্মচারীদের দশ মাসের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষনা করেন উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের সিইএম দেবোলাল গারলোসা। তাছাড়া পার্বত্য পরিষদের অবসর প্রাপ্ত কর্মীদের গ্র্যাচুয়িটি বাবদ ১৭ কোটি টাকা পূজোর আগে মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে বুধবার ঘোষনা করেন পার্বত্য পরিষদের সিইএম। তাছাড়া উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের কর্মীদের বেতন সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে বুধবার থেকে স্বেচ্ছাবসর (ভিআরএস) প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। বুধবার উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ প্রাঙ্গনে বুধবার পরিষদের কর্মচারীদের সঙ্গে এক সভায় সিইএম দেবোলাল গারলোসা বলেন পার্বত্য পরিষদের কর্মচারীদের স্থায়ী বেতন সমস্যা সমাধানে আন্তরিকতা দেখাচ্ছে পার্বত্য পরিষদ তবে এর জন্য ভিআরএস প্রকল্প চালু করে পরিষদে কর্মচারীর সংখ্যা কমাতে হবে। সিইএম বলেন রাজ্যসরকার পার্বত্য পরিষদ কর্মচারীদের দশ মাসের বকেয়া বেতন সহ পরিষদের অবসর প্রাপ্ত কর্মীদের গ্র্যাচুয়িটির টাকা মিটিয়ে দিতে এককালীন আর্থিক সাহায্য প্রদান করবে। মোট ৭৭ কোটি টাকা রাজ্যসরকার মিটিয়ে দেবে বেতন ও গ্র্যাচুয়িটির জন্য। এছাড়া পরিষদের ৪০০ কর্মচারীর ভিআরএস সেচ্ছাবসরের জন্য আর্থিক সাহায্য দিতে রাজি হয়েছে। আজ কর্মচারীদের সঙ্গে সভায় সিইএম দেবোলাল গারলোসা বলেন যাদের ২০ বছর চাকুরী হয়ে গেছে তারা ভিআরএসের জন্য আবেদন করতে পারেন তাছাড়া যে সব কর্মচারীর স্বাস্থ্যগত সমস্যা রয়েছে তারা ভিআরএসের জন্য আবেদন জানাতে পারেন। তবে যারা ভিআরএসের জন্য আবেদন জানাতে চায় তারা ১ আগষ্ট থেকে ৩১ আগষ্টের মধ্যে জানাতে হবে তারজন্য পার্বত্য পরিষদের অর্থ বিভাগে একটি ভিআরএস সেল খোলা হবে। কারন কত কর্মচারী ভিআরএস নিতে আবেদন করেন তার রিপোর্ট রাজ্যের অর্থ বিভাগের কাছে পাঠাতে হবে। সিইএম বলেন সেপ্টেম্বরে রাজ্য বিধান সভার বাজেট অধিবেশনের আগেই ভিআরএসের তালিকা রাজ্যের অর্থ বিভাগের কাছে পাঠাতে হবে। কারন বিধান বাজেট অধিবেশনে তা অন্তর্ভূক্ত করা হবে।  তাই ভিআরএসের বিষয়টি নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহন করার কথা জানান সিইএম দেবোলাল গারলোসা। তবে যে কর্মচারী ভিআরএসের জন্য আবেদন জানাবেন ওই কর্মচারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ভিআরএসের টাকা না আসা পর্যন্ত ভিআরএস কার্যকরী হবেনা বলে স্পষ্ট করে দেন পার্বত্য পরিষদের সিইএম। এই সভার পর পরিষদ সচিবালয় কনফারেন্স হলে সিইএম দেবোলাল গারলোসা বলেন পূর্বের কংগ্রেস সরকারের আমলে পরিষদের রাজস্ব বছরে সংগ্রহ হত ১৭ কোটি টাকা তবে পার্বত্য পরিষদে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর রাজস্ব সংগ্রহের মাত্রা বেড়েছে। এবছর পার্বত্য পরিষদের রাজস্ব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ কোটিতে। আগে উমরাংশুতে নিপকোর কাছ থেকে কোনও রাজস্ব আসতা না পার্বত্য পরিষদে নিকপোর কপিলি জল বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে মেঘালয় সরকার ৬ শতাংশ ও অসম সরকার ৬ শতাংশ রাজস্ব নিয়ে যেত দেবোলাল গারলোসা বলেন রাজ্যসরকারের সঙ্গে এনিয়ে আলোচনা করার পর অসম সরকার নিপকো থেকে পাওয়া ৬ শতাংশ রাজস্বের মধ্যে ৩ শতাংশ রাজস্ব পার্বত্য পরিষদকে দিতে রাজি হয়েছে। এছাড়া উমরাংশু লোয়ার কপিলি হাইড্রো প্রকল্প নিয়ে এপিজিসিএলের সঙ্গে এক চুক্তি হয়েছে এই প্রকল্প থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫ শতাংশ রাজস্ব পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদে আসবে তাছাড়া  স্থানীয়দের ৮০ শতাংশ নিযুক্তি দেওয়া ব্যাপারে চুক্তি সাক্ষরিত হয় উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের সঙ্গে।  বর্তমানে ১৯৯ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা সহ পার্বত্য পরিষদের বেতন মিটিয়ে দিতে প্রায় মাসে সাত কোটি টাকার প্রয়োজন। তবে রাজ্য সরকার পরিষদের আড়াই হাজারের বেশী কর্মচারীর বকেয়া দশ মাসের বেতন ও অবসরপ্রাপ্ত পরিষদ কর্মচারীদের গ্র্যাচুয়িটি মিটিয়ে দিতে ৭৭ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য দিতে রাজি হয়েছে বলে জানান সিইএম দেবোলাল গারলোসা। এদিন পার্বত্য পরিষদের ইএম স্যামুয়েল চাংসন বলেন যেখানে পরিষদে ১ হাজার কর্মচারী হওয়ার কথা সেখানে বিভিন্ন সময় অবৈধ ভাবে অতিরিক্ত নিযুক্তি দেওয়ার জন্যই এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ভিআরএসের মাধ্যমে রাজ্যসরকার এককালীন আর্থিক সাহায্য দিতে রাজি হয়েছে। তাই যে সব কর্মচারী ভিআরএস নিতে চায় তাকে এ মাসেই সিন্ধান্ত নিতে হবে বলে সভায় মন্তব্য করেন স্যামুয়েল চাংসন। এদিন পরিষদ সচিবালয়ে কর্মচারীদের সঙ্গে সভায় অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বীরভদ্র হাগজার পরিষদের চেয়ারপার্সন রানু লাংথাসা প্রধান সচিব নরেশ ঘোষ ও মুকুট কেম্রাই সহ ইএম কুলেন্দ্র দাওলাগাপু প্রমুখ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.