Header Ads

এন আর সি এক বিগ জির’ : বিতৰ্কিত বিধায়ক শিলাদিত্য দেব

গুয়াহাটি : ‘দীৰ্ঘ তিন বছর থেকে প্ৰায় পঞ্চান্ন হাজার সরকারী কৰ্মচারী বহু চৰ্চিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জী প্ৰস্তুত করল৷ বার হাজার কোটি টাকা খরচা হল৷ কিন্তু অসমের ভাগ্যে কি জুটল? এক বিগ জির’৷ চল্লিশ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পরল, কিন্তু লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশী মুসলিমদের নাম অন্তৰ্ভুক্ত হল৷ আজ নেতারা রসগোল্লা খাচ্ছেন৷’ রাজ্যের বিতৰ্কিত বিজেপি বিধায়ক শিলাদিত্য দেব আজ দিসপুর প্ৰেস ক্লাবে মুখোমুখি শীৰ্ষক কৰ্মসূচিতে এভাবে তাঁর মন্তব্য দিলেন৷ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্ৰীসহ ৬১জন বিজেপি বিধায়ক আছেন৷ বাকী কেও এন আর সি নিয়ে মন্তব্য করেন না, শুধু ব্যতিক্রমী হচ্ছেন শিলাদিত্য দেব৷ যাকে দেশ-বিদেশ থেকে টেলিফোন ও অন্যান্য মাধ্যমে সারে তিনশ বার হুমকি দেওয়া হয়েছে৷ তিনি সরাসরি আসুর বিদ্ধে অভিযোগ করে বলেন মন্ত্ৰীত্বের লোভে ১৯৫১ সালের ভিত্তি বৰ্ষকে অগ্ৰাহ্য করে ১৯৭১ সালের ২৪ মাৰ্চকে ভিত্তি বৰ্ষ হিসেবে গণ্য করে অসম চুক্তি করে অসমকে ধ্বংস করলেন৷ সারা দেশে নাগরিকত্বের ভিত্তি বৰ্ষ হল ১৯৫১ সাল৷ বাংলাদেশের সিলেটের আদি বাসিন্দা জমিদার বাড়ীর সন্তান শিলাদিত্য দেব সাংবাদিকতায় তাঁর হাতে খড়ি, পরে বিজেপিতে যোগদান৷ তিনি মন্তব্য করেন ‘ছাত্ৰাবস্থায় শুনতাম শংকরদেব-মাধ্বদেবেরে আসাম, পরে শুনলাম শংকর-আজানের দেশ আসাম, এখন শুনছি শংকরদেব-বদদ্দিনের আসাম৷ রাজ্যে ইতিমধ্যে ৭টি জেলা বাংলাদেশী মুসলিমদের দখলে গেছে৷ ৫৬ বিধানসভা ক্ষেত্ৰে নিৰ্ণায়ক শক্তি হচ্ছে তাঁরা৷ আগামী ২০২৬-এ দিশপুরের মসনদ দখলের লক্ষ্যে বদদ্দিন সাহেব এগিয়ে আছে৷’ এক পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন ‘ত্ৰিপুরায় ৮৪০ কিলোমিটার বাংলাদেশ সীমান্ত৷ সেই রাজ্যে মাত্ৰ ৮ শতাংশ মুসলিমের বাস৷ পক্ষান্তরে অসমে ২৬৩ কিলোমিটার বাংলাদেশ সীমান্ত, এই রাজ্যে ৪২ শতাংশ বাংলাদেশী মুসলিমের বাস৷ সেখানে ত্ৰিপুরা হলেও অসমের কোন ক্ষতি হত না৷’ নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল সম্পৰ্কে বলেন রাজ্যসভায় বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই, তা পাশ হওয়ার কোন সম্ভবনায় নেই৷ ২০১৫ সালে কেন্দ্ৰীয় সরকার জোড়া নটিফিকেশন ইস্যু করে বলেছিল বাংলাদেশ, পকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে নিৰ্যাতিত হয়ে যে সব হিন্দু ধৰ্মাবলম্বী মানুষ ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পৰ্যন্ত ভারতে প্ৰবেশ করেছে তাদেরকে ভিসা নাথকলেও এদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দেওয়া হয়েছে৷ এই তথ্য জানিয়ে বলেন, এই মানুষদের মধ্যে হয়তোবা ২০ লক্ষ বাঙালি হিন্দু হতে পারে৷ এই ২০ লক্ষ বাঙালি হিন্দুকে গ্ৰহণ না করে এন আর সির তালিকায় অন্তৰ্ভুক্ত লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশী মুসলমানকে সমৰ্থন করছে৷ এ পি ডব্লিউর অভিজিৎ শৰ্মার অভিমতকে সমৰ্থন করে বলেন, অসমীয়া যুবকরা শাক-সবজির ব্যবসা, মাছ-ডিমের ব্যবসা, ঠেলা-রিক্সা চালনোর মত কাজকে অপছন্দ করে৷ তাদের পছন্দ ‘হোয়াইট কলার’-এর কাজ৷ তাই স্বাভাবিকভাবেই অসমের মানুষকে নিৰ্ভর করতে হবে সেই সব মানুষগুলির ওপর, যাদেরকে বাংলাদেশী বলে দূরে ঠেলে দিই৷ 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.