Header Ads

গোয়ালপাড়া ডিটেনশন ক্যাম্পে ‘ডি' ভোটাররা ৭ দিন ধরে আমরণ অনশন করছেন, অধিকাংশ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন



গুয়াহাটিঃ গোয়ালপাড়া ডিটেনশন ক্যাম্পে ‘ডি' ভোটাররা ৭ দিন ধরে আমরণ অনশন করছেন, অধিকাংশ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এন আর সি) রূপায়নের ফলে অসমের বাংলাভাষী হিন্দু-মুসলিম সম্প্ৰদায়ের মানুষ সব থেকে বেশি বিপদের মধ্যে পড়েছেন। নানাভাবে প্ৰশাসনিক হয়রানের শিকার হতে হচ্ছে। সব থেকে করুণ অবস্থা ‘ডি' ভোটারদের। এন আর সি থেকে বাদ পড়া ৪০ লক্ষ ৭ হাজার ৭০৭ জন মানুষের মধ্যে ২ লক্ষ ৪৮হাজার ‘ডি' ভোটারকে ‘হোল্ড' করে রেখে সব অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। প্ৰকৃতাৰ্থে সৰ্বমোট ১ লক্ষ ২৬ হাজার ‘ডি' ভোটার। কিন্তু পরিবারের একজন সদস্যকে ‘ডি' ভোটারের তকমা থাকলে পরিবারের সবকেই ডি ভোটার হিসাবে চিহিত করে সব ধরণের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এই ভোটারদের ‘ডাউটফুল/ডিসপিউটেড হিসাবে তকমা সাঁটা হয়েছে। এই হিন্দু-মুসলিম সংখ্যালঘু ‘ডি' ভোটারদের মধ্যে ৬টি কারাগারে প্ৰায় এক হাজারজনকে আটকে রাখা হয়েছে। যাদেরে অধিকাংশ ভারতীয় নাগরিকত্বের বৈধ নথি-পত্ৰ আছে। তিন তিন বারের প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈ বারবার বলেছেন, ‘ডি' ভোটারদের ৯০-৯৫ শতাংশ ভারতীয় নাগরিক। নিম্ন অসমের গোয়ালপাড়া কারাগারে শতাধিক ‘ডি' ভোটার জামিনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন। গত ২৪ আগষ্ট থেকে ২৭জন পুরুষ আমরণ অনশনে বসেছেন। জেলা প্ৰশাসনের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ব্যৰ্থ হই, সবাই মুখে কুলুপ এঁটেছেন। গোয়ালপাড়ার সাংবাদিক বিক্ৰম সরকার এই প্ৰতিবেদকে জানান, আমরণ অনশনের ফলে অধিকাংশের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে। কারাগারের চিকিৎসকরা গোয়ালপাড়ার সিভিল হাসপাতালের সহযোগিতা নিয়ে চিকিৎসা চালাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, আটকাধীন ব্যক্তিদের অবস্থা খুব খারাপ, ব্যক্তিদের আত্মীয় স্বজনরা বাড়ি থেকে পোষাক পরিচ্ছদ ও অন্যান্য সামগ্ৰী এনে তাদের দেয়। এই গোয়ালপাড়া জেলায় ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির জন্য কেন্দ্ৰীয় সরকার ৪৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। আশি বিঘার জমিতে এই ক্যাম্প তৈরি হবে। তার জন্য জমি খোঁজা হচ্ছে।   

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.