Header Ads

গোঁসাইগাঁওয়ের চৌতারা ষ্টেশনে কোচরাজবংশীর রেলপথ অবরোধ, লাঠি চাৰ্জ, শূণ্যে গুলি, পুলিশ সহ ২০-২৫জন আহত


গুয়াহাটিঃ অসমে যে কোনও আন্দোলনে রেলকেই তাদের আন্দোলনের প্ৰধান লক্ষ্য বস্তু হিসাবে গণ্য করে, রেলপথ অবরোধই তাদের আন্দোলনের কৰ্মসূচী হয়ে দাঁড়ায়। কারণ রেল এক সফট টাৰ্গেট, যে কেউ রেলওয়ে লাইনকে অবরোধ করে আম জনতার দূভোগকে ত্বরান্বিত করে। সেই দূভোগকে পুুঁজি করে আন্দোলনকারীরা তাদের দাবি দাওয়া পূরণের জন্য কৰ্তৃপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করে। কোচ রাজবংশী সন্মিলনী পুনরায় আজ সকাল ৬টা থেকে নিম্ন-উজান অসমের বিভিন্ন জায়গায় রেল অবরোধ করায় রাজধানী, বাঙ্গালোর এক্সপ্ৰেস সহ গুরুত্বপূৰ্ণ বেশ কয়েকটি ট্ৰেন আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার সহ বিভিন্ন ষ্টেশনে আটকা পড়ে। হাজার হাজার যাত্ৰী আবদ্ধ হয়ে পড়ে রেলের কামরায়। আজ সকালে কোকরঝাড় জেলার গোসাইগাঁওয়ের চৌতারা ষ্টেশনে রেল অবরোধ কালে কয়েক হাজার কোচরাজবংশী আন্দোলকারীদের সঙ্গে পুুলিশের খণ্ডযুদ্ধ হয়। ছত্ৰভঙ্গ করার জন্য পুলিশকে লাঠি চালাতে হয় এবং কাঁদানে গ্যাস প্ৰয়োগ করতে হয়। শেষ পৰ্যন্ত পুলিশকে কয়েক রাউণ্ড শূণ্যে গুলি চালাতেও হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে আন্দোলকারীরা যথেচ্ছারভাবে ইট, পাটকেল ছোড়ে যার ফলে কমপক্ষে ২০জন আন্দোলনকারী এবং ৫জন পুলিশ আহত হয়েছে। বেশ কয়েকটি গাড়ীও ভাঙচুর করা হয়। অপরদিকে উজান অসমের শিবসাগর জেলার শিমুলগুরিতে কয়েক হাজার আন্দোলনকারী রেল পথ অবরোধ করে। উভয় জায়গায় উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুলিশ ১৫জনকে গ্ৰেফতার করেছে। কোচরাজবংশী জনগোষ্ঠীর জন্য পৃথক রাজ্য এবং ঐ বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে তপশীলভূক্ত করে উপজাতির মৰ্যাদা দেওয়া প্ৰভৃতির দাবিতে বারবার আন্দোলন করা হচ্ছে। আন্দোলকারীরা অভিযোগ করেন, কেন্দ্ৰের বিজেপি সরকার তাদের প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েও পূরণ করছে না। আগামী ১৫ আগষ্টের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে রাজ্যে বৃহত্তর গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুমকি দিয়েছে। প্ৰসংগত ১৯৯৬ সালের ২৭ জানুয়ারী কেন্দ্ৰীয় সরকার কোচরাজবংশীকে অৰ্ডিন্যান্স মাধ্যমে উপজাতির মৰ্যাদা দিয়েছিল। কিন্তু পর পর তিনবার অৰ্ডিন্যান্স জারি করা হলেও তা নবীকরণ করা হয় নি, শেষ পৰ্যন্ত অৰ্ডিন্যান্স বাতিল হয়ে যায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.