Header Ads

রেলওয়ে ট্র্যাকে হাতির মৃত্যু সারা দেশেই বৃদ্ধি পাচ্ছে


আশীষ দেঃ লামিডং
রেলওয়ে  ট্র্যাকে  হাতির  মৃত্যু  সারা  দেশেই  বৃদ্ধি  পাচ্ছে ।  এই মৃত্যুর  হার লামডিং ডিভিশনের  বিভিন্ন  এলাকায়  বৃদ্ধি  পাওয়ায়  আন্তরিক ও জাতীয়  বন্য প্রাণী সংরক্ষণ  সংস্থা  গুলির  চাপে  একটি   ক্লোজ  গ্রুপ  তৈরী করা হয়  গত 2016  ডিসেম্বর । এই গ্রুপ  পরিচালনা করেন  ডিআরএম  লামডিং।  এই গ্রুপ পরিচালিত  হয়  WhatsApp  এর মাধ্যমে  এবং এর ফলে অনেক   বড়  দুর্ঘটনা  এড়ানো  সম্ভব হয়েছে । বন কর্মীদের দ্বারা  হাতির পালের  যাতায়াত  কে মনিটর  করা  হয়  এবং  এই খবর  তৎক্ষণাৎ  অন্যান্য  পোষ্ট,  পুলিশ,  রেলওয়ে  কন্ট্রোল রুম,  বিদ্যুৎ  বিভাগের  কন্ট্রোল রুমে  জানানো  হয় । এতসত্বেও গত 24 মে  2018, পাঁচটি  পুর্ণবয়স্ক হাতির  মৃত্যু হয় গৌহাটি- শিলচর যাত্রীবাহী ট্রেনের  ইঞ্জিনের  ধাক্কায় ।  উল্লেখ্য  রেলওয়ে  বোর্ডের  নির্দেশ  মতে  সংরক্ষিত  বনাঞ্চলে  ট্রেনের  গতি ঘন্টায়  30 কিমি  করা  হয়েছে । অথচ ঐ ট্রেনটি  60  কিমি  গতিতে  হাওয়াইপুর  হাতির  সংরক্ষিত  বনাঞ্চলের হাতির   পথের  মধ্যে  দিয়ে  যাচ্ছিল । এই ঘটনার পর  দেশ জুড়ে তীব্র প্রতিবাদ  হয়  রেলওয়েকে গাফিলতির জন্য  ভৎসর্না করা  হয়,  প্রাক্তন  বন মন্ত্রী  প্রমীলা  রাণী  ব্রহ্ম  বিষয়টি  নিয়ে আলোচনা  করেন ।                          লামডিং- গৌহাটির রেললাইন  পাশে অনেকাংশে  সংরক্ষিত  বন ও হাতির  যাতায়াতের  পথ আছে । নির্বিচারে  বন ধ্বংস করে  হাতির  বাসস্থান ও  খাদ্যের অভাব  এই মূহুর্তে  সবচেয়ে  বড়  সংরক্ষণের  সমস্যা ।  2008 এর  মে মাসের 24  তারিখ  ঘরোয়া  ও wwf রেলের  লোকো পাইলট,  গার্ড,  ও অফিসারদের  জন্য হাতির  ব্যবহার   সম্পর্কে  একটি  কর্মশালা  করেন । কিন্তু  রেল কতৃপক্ষের  উদাসীনতার  জন্য  এটিকে  আর নিয়মিত  করা সম্ভব  হয় নি ।                      বর্তমানে  এই গ্রুপের সদস্যরা  নিয়মিত  মিটিং  করে  সমস্যার সমাধান করতে  সচেষ্ট । আজ ডিআরএম  এর  সভাকক্ষে  একটি  মিটিং  হয়,  যা পরিচালনা  করেন  শ্রী  আশীষ শর্মা,  ডিআরএম  সঙ্গে  ছিলেন  বিভাগীয়  আধিকারিক,  বৃক্ষমিত্র শিব কুমার ,  মুখ্য  বন সংরক্ষক   NAC, এবং হোজাই, নগাঁও ও কারবি-আংলঙ এর বনকর্মীরা,  ছিলেন  wwf এর হস্তী বিশারদ,  ডাঃ  অনুপম  শর্মা,  ডাঃ  প্রণব বরা, হীতেন বৈশ্য,  শ্রী অনুপ কুমার  দাস  CEO ঘরোয়া  ও শ্রী  রনয় কুমার  দাস  যুগ্ম সম্পাদক  ।  এই মিটিং  এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে  যে স্টেশনের কর্মীদের  প্রশিক্ষণ দেওয়া,  নিয়মিত  হাতির  পথ নিরীক্ষণ,  আন্ডার  পাস  ও গাইডেড  করিডোর নির্মাণ,  ও নাইট  ভিশন  ক্যামেরা  বসান ইত্যাদি । মিটিং  সঞ্চালক করেন  শ্রী সাজন জর্জ  Sr.DEN

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.