Header Ads

একাদশ শ্ৰেণীর ১৪ লক্ষ ৯২ হাজার ৬ শ বই বিনামূল্যে বিতরণ করেন মুখ্যমন্ত্ৰী সনোয়াল


গুয়াহাটিঃ উচ্চ মাৰ্গের মানব সম্পদ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে অভিভাবক এবং শিক্ষকদের বিরাট ভূমিকা আছে, তারা তাদের সামাজিক দায়িত্ব যথারীতি পালন করলে ছাত্ৰ সমাজ সঠিক পথে পরিচালিত হবে। ছাত্ৰ সমাজ দেশের সুনাগরিক হিসাবে পরিগণিত হবে। সেই দায়িত্ব পালন করার জন্য মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল আজ শিক্ষক ও অভিভাবক সমাজের প্ৰতি আহবান জানান। মুখ্যমন্ত্ৰী আজ গুয়াহাটিস্থিত বি. বরুয়া কলেজে সরকারি প্ৰতিশ্ৰুতি অনুযায়ী একাদশ শ্ৰেণীর ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৬৫ জন ছাত্ৰ-ছাত্ৰীকে ১৪ লক্ষ ৯২ হাজার ৬ শ বই বিনামূল্যে বিতরণের সূচনা করেন। অসমীয়া, বাংলা, বোড়ো, ইংরেজী, নেপালী, মণিপুরি প্ৰভৃতি ৮টি ভাষায় ২০১৮-১৯ শিক্ষাবৰ্ষের জন্য এই বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হয়। মুখ্যমন্ত্ৰী সনোয়াল বলেন, ভারতবৰ্ষের মধ্যে অসমই এই প্ৰথম ৩৩টি জেলায় এতোগুলি ভাষায় একাদশ শ্ৰেণীর ছাত্ৰ-ছাত্ৰীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধু পাঠ্যপুস্তক বিতরণই নয় দুঃস্থ ছাত্ৰ-ছাত্ৰীদের বিনা পয়সায় কলেজ পৰ্যায় পৰ্যন্ত ভৰ্ত্তির ব্যবস্থাও করেছে। তাদের স্কলারশিপ দেওয়া ছাড়াও ছাত্ৰ সমাজের গুণগত মান উন্নয়নের জন্য সরকার ‘গুনোৎসব'-এর ব্যবস্থা করেছে। ছাত্ৰ-ছাত্ৰীদের গুণগত মান উন্নয়নের পাশাপাশি সমাজ ও দেশের সাৰ্বিক উন্নয়নে সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় গুরুত্ব আরোপ করেছে। রাজ্যের বিশ্ব শিল্প বিনিয়োগ সন্মেলন সম্পৰ্কে বলেন, গুয়াহাটি মহানগরকে বিশ্ব শিল্প বিনিয়োগের প্ৰধান কেন্দ্ৰ হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে গুয়াহাটিতে ৬৫ তলা বিশিষ্ট ‘টুইন টাওয়ার' নিৰ্মান করা হবে। বিদেশী সব রাষ্টে্ৰর রাষ্ট্ৰদূতদের কাৰ্যালয় থাকবে ঐ ‘টুইন টাওয়ারে'। এই অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্ৰী সিদ্ধাৰ্থ ভট্টাচাৰ্য বলেন, বিভিন্ন পাঠ্যক্ৰম সরবরাহ করার ক্ষেত্ৰে কিছুটা বিলম্ব ঘটলেও শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে সরকার আপোষ করবে না। মন্ত্ৰী পল্লব লোচন দাস, জিতু গোস্বামী, প্ৰীতম শইকিয়া, সমসের সিং প্ৰমুখ শিক্ষা বিভাগের অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.