ডিমা হাসাও জেলার হাডিংমাতে অগপ দলের আঞ্চলিক সভাপতির উপর দূষ্কৃতীকারীর আক্রমন
হাফলংঃ ডিমা হাসাও জেলায় অসম গন পরিষদ দলের নেতাদের উপর দূষ্কৃতীকারীর আক্রমনের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। একের পর এক অগপ নেতাকে আক্রমনের লক্ষ্য করে নিচ্ছে দূষ্কৃতীকারীর দল এতে পাহাড়ি জেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অবনতির দিকে যাচ্ছে কিন্তু জেলাপ্রশাসন বা পুলিশ এনিয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহন করছেনা বলে অভিযোগ। উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে রাজ্যে বিজেপির মিত্র দল অগপ নেতাদের উপর আক্রমনের ঘটনা বেড়ে চলছে সম্প্রতি অগপ জনজাতি পরিষদের রাজ্য সম্পাদক জেড নুনিসার উপর মাইবাঙে হামলা চালানোর চেষ্টা করার পর অগপ জনজাতি পরিষদের ডিমা হাসাও জেলা কমিটির সভাপতি ফিরোজ লাংথাসাকে পাঁচজনের অস্ত্রধারী দূষ্কৃতী তার নাবলাইডিসার বাড়িতে গিয়ে খোঁজাখোঁজি করার পর বুধবার রাতে উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের হাডিংমা নির্বাচন কেন্দ্রের আঞ্চলিক সভাপতি নলেশ নুনিসাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এসে মারপিট করে দূষ্কৃতীকারীর দল। এনিয়ে নলেশ নুনিসা হাফলং থানায় এক এজাহার দাখিল করলে ও হাফলং পুলিশ এই ঘটনা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহন করেনি বলে অসম গন পরিষদ দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। নলেশ নুনিসা বুধবার রাতে ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে পুলিশের কাছে যে অভিযোগ দাখিল করেন এতে তিনি উল্লেখ করেন পার্বত্য পরিষদের হাডিংমা নির্বাচন কেন্দ্রের গুরুবাড়ি গ্রামের বাড়ি থেকে ডিকানন কেম্প্রাই নামে এক দূষ্কৃতীকারী বুধবার রাত সাড়েনয়টা থেকে দশটার মধ্যে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে এএস০৮৭২৯৫ নম্বরের সাদা স্কোরপিও গাড়ীতে তুলে ভিতর থেকে গাড়ী বন্ধ করে দেয় এবং আগে থেকেই গাড়ীর ভিতরে আরো এক যুবক বসা ছিল তারপর ওই দুজন মিলে গাড়ীতে থাকা মিউজিক সিস্টেমের মিউজিক পুরো ভলিঅম দিয়ে প্রায় দুই ঘন্টা গাড়ীর ভিতর আটকে রেখে তাঁকে মারপিট করা সহ শারিরীক অত্যাচার করে ছেড়ে দিয়ে তাকে হুমকি দেওয়া হয় যে এই ঘটনা কাউকে জানালে এমনকি পুলিশে জানালে নলেশকে গুলি করে খুন করে ফেলা হবে। হাফলং থানায় বৃহষ্পতিবার অগপ দলের হাডিংমা আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি পুলিশে এজাহার দাখিল করার পর ও রহস্য জনক ভাবে পুলিশ এই ঘটনা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহন করে নি বলে গুরুতর অভিযোগ তুলে অগপ ডিমা হাসাও জেলা কমিটি। এদিকে উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে পাহাড়ি জেলায় রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়ে চলছে আর এতে করেই পাহাড়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল।
কোন মন্তব্য নেই