Header Ads

এন আর সি এক ইউনিক ব্যবস্থা, এই ব্যবস্থার জন্য মুখ্যমন্ত্ৰী এবং প্ৰধানমন্ত্ৰীর প্ৰশংসা করেন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত

অসমপ্ৰাণ হরেন্দ্ৰনাথ বরুয়ার স্মৃতিতে শ্ৰদ্ধাঞ্জলী অনুষ্ঠান

গুয়াহাটিঃ অনুপ্ৰবেশকারী সমস্যার ফলে অসমের ভূমিপুত্ৰের মধ্যে আশংঙ্খার সৃষ্টি হয়েছে তারা নিজ দেশে পরভূমি হবে, অস্তিত্ব বিপন্ন হবে, এই আশংঙ্খা দূর করতে অসমীয়া জনগোষ্ঠীর জমির অধিকার, ভাষা-সংস্কৃতির অধিকার সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এন আর সি)র কাজ শুরু হয়েছে। যা দেশের মধ্যে এক ‘ইউনিক' ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থা গ্ৰহণের জন্য দেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল এবং প্ৰথানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদির ভূয়শী প্ৰশংসা করেন। আজ শুক্ৰবার গুয়াহাটিতে অসমপ্ৰাণ হরেন্দ্ৰনাথ বরুয়ার জীবনাদৰ্শের নানা প্ৰসংগ তুলে ধরে  ‘অাসাম প্ৰবলেমস আর ইণ্ডিয়ান প্ৰবলেমস' শীৰ্ষক বিষয়ের ওপর স্মারক বক্তৃতা দেওয়ার সময় সাংসদ দাশগুপ্ত অসমের অবৈধ অনুপ্ৰবেশকারীর সমস্যা সম্পৰ্কে এই কথা বলেন। আজ গুয়াহাটি বিবেকানন্দ কেন্দ্ৰের প্ৰেক্ষাগৃহে হরেন্দ্ৰনাথ বরুয়া ফাউণ্ডেশনের পক্ষ থেকে এক শ্ৰদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে বিশেষ আমন্ত্ৰিত অতিথি হিসাবে রাষ্ট্ৰপতির মনোনিত সাংসদ পদ্মভূষণ প্ৰাপক তথা বিশিষ্ট সাংবাদিক ও চিন্তাবিদ স্বপন দাশগুপ্ত অসমের অবৈধ অনুপ্ৰবেশ উদ্ভূত নানা সমস্যা সম্পৰ্কে আলোকপাত করে জাতীয় প্ৰেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, সারা বিশ্বের মানুষ উদ্বাস্ত সমস্যায় জৰ্জরিত, আমেরিকা, মেক্সিকো, জাৰ্মানী এই সমস্যায় ভূগছে। কোনও দেশই অতিরিক্ত উদ্বাস্ত বোঝা নিতে চায় না। অসমে এন আর সি উদ্ভূত সমস্যা সম্পৰ্কে বলেন, এক তথ্যে জানা গেছে প্ৰায় ১০০ কোটি মানুষের উদ্বাস্তের বোজা এই দেশের ঘাড়ে চেপেছে। তার মধ্যে প্ৰায় ৪০ লক্ষ পশ্চিমবঙ্গে এবং প্ৰায় ৪০ লক্ষ অসমে এবং অন্যান্য রাজ্যে বাকি উদ্বাস্তরা আশ্ৰয় নিয়েছে। উদ্বাস্ত এবং বাংলাদেশে এক সময় ৩৭ শতাংশ হিন্দু বাঙালি মানুষেদের স্থায়ী আস্থানা ছিল, ঢাকা, চট্টগ্ৰাম প্ৰভৃতি শহরাঞ্চলে জীবন সম্পত্তি নিরাপত্তা আছে। গ্ৰাম বাংলাদেশে প্ৰত্যন্ত অঞ্চলে নিরাপত্তার অভাবের জন্য বৰ্তমানে বাংলাদেশে হিন্দু বাঙালিদের সংখ্যা হ্ৰাস পেয়ে ৯-১০ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। তার অধিকাংশ এ দেশে আশ্ৰয় নিয়েছে। এন আর সি তালিকা থেকে ৪০ লক্ষ মানুষ বাদ পড়ার মধ্যে তিনি কোনও অস্বাভাবিকতা দেখছেন না। বলেন, বহু বৈধ নাগরিকের নাম তালিকায় উঠে নি, আবার বহু অবৈধ নাগরিকের নাম তালিকায় অন্তৰ্ভূক্ত হয়েছে। তা এন আর সির বিভিন্ন প্ৰক্ৰিয়ার মধ্যে সমাধান সম্ভব। এই সমস্যাকে বিশ্বে দরবারে নিয়ে যাওয়ার কোনও অৰ্থ নেই। বিশিষ্ট সাংবাদিক ধীরেন্দ্ৰ নাথ বেজবরুয়ার পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত সভায় ‘আসাম ট্ৰিবিউন' গোষ্ঠীর স্বত্বাধিকারী প্ৰফুল্ল গোবিন্দ বরুয়া এবং ‘সাদিন-প্ৰতিদিন' গোষ্ঠীর স্বত্বাধিকারী জয়ন্ত বরুয়াকে ফাউণ্ডেশনের পক্ষ থেকে সম্বৰ্ধনা জানানো হয়। ফাউণ্ডেশনের প্ৰয়াত সভাপতি রাধিকা মোহন ভাগবতীর স্মৃতিতে দু'মিনিট মৌনব্ৰত অবলম্বন করা হয়। এই শ্ৰদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠান উপলক্ষে স্বাধীনতা সংগ্ৰামী, সংবাদ পত্ৰ জগতের অগ্ৰণী পুরুষ অসম প্ৰাণ হরেন্দ্ৰনাথ বরুয়ার ‘রিফ্লেকশন অন আসাম' এবং সরকারের জনসংযোগ অধিকৰ্তা রাজীব প্ৰকাশ বরুয়ার এক প্ৰবন্ধের সংঙ্কলন উন্মোচন করা হয়। এই ফাউণ্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক তথা মুখ্যমন্ত্ৰীর মিডিয়া উপদেষ্টা ঋষীকেশ গোস্বামী অসমপ্ৰাণ হরেন্দ্ৰ নাথ বরুয়ার বিভিন্ন অবদানের কথা শ্ৰদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। জনসংযোগ অধিকৰ্তা রাজীব প্ৰকাশ বরুয়া অতিথি অভ্যাগতদের স্বাগত জানান। প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী প্ৰফুল্ল কুমার মহন্ত, প্ৰাক্তন সাংসদ জয়শ্ৰী গোস্বামী মহন্ত, বিশিষ্ট সমাজকৰ্মী শঙ্কর দাস, প্ৰাক্তন বিধায়ক অজয় দত্ত, ধীরেন্দ্ৰ নাথ চক্ৰবৰ্তী, দৈনিক নববৰ্তাপ্ৰসঙ্গ'র সম্পাদক হবিবুর রহমান চৌধুরী, দৈনিক সাময়িক প্ৰসঙ্গ'র সম্পাদক তৈমুর রাজা চৌধুরীসহ রাজ্যের বিশিষ্ট ব্যক্তিবৰ্গ এই গাম্ভীৰ্য্যপূৰ্ণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ‘রাইজর বাতরি'র সম্পাদক ভূপেন্দ্ৰ কুমার ভট্টাচাৰ্য সমগ্ৰ অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করেন। সংগীতা কাকতির মঙ্গলাচরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.