Header Ads

প্ৰতীক হাজেলা জানালেন সম্পূৰ্ণ খসড়া তালিকা চুড়ান্ত তালিকা নয়, ভুল ভ্ৰান্তির সম্ভাবনা আছে


আজ ১০টায় আর জি আই শৈলেশ দ্বিতীয় খসড়া তালিকার প্ৰকাশ করবেন

গুয়াহাটিঃ মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল এন আর সিকে অসমবাসীর সুরক্ষার দলিল বলে বৰ্ণনা করেছেন। সেই দলিল আর কয়েক ঘণ্টা বাদেই সোমবার সকাল ১০টায় ভাঙাগড় জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর কাৰ্যালয়ে প্ৰকাশ পাবে। রেজিষ্টার জেনারেল অফ ইণ্ডিয়া শৈলেশ এবং জাতীয়  নাগরিকপঞ্জীর সমন্বয়ক প্ৰতীক হাজেলা যৌথভাবে দ্বিতীয় খসড়া তালিকা প্ৰকাশ করবেন। প্ৰতীক হাজেলা আজ আবার বলেন, আমরা এই মূহূৰ্তে চুড়ান্ত তালিকা প্ৰকাশ করছি না দ্বিতীয় খসড়া সম্পূৰ্ণ করছি মাত্ৰ, চুড়ান্ত নয়। তিনি অকপটে স্বীকার করেন নিলেন ‘কিছু ভুল ভ্ৰান্তি হতে পারে।' দাবি আপত্তির মাধ্যমে তা চুড়ান্ত করা হবে। সৰ্বদলীয় বৈঠকেও মুখ্যমন্ত্ৰী এই আশ্বাসই দেন। রাজ্যের এডিজিপি পল্লব ভট্টাচাৰ্য এই প্ৰতিবেদককে বলেন, আমরা প্ৰস্তুত দেশ বিদেশের হুমকি থাকা সত্ত্বেও শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্ৰে কোনও ধরণের আপোষ করবো না। দৃঢ়তারে সঙ্গে জানান, যাদের নাম বাদ পড়বে তাদের কোনও ধরণের প্ৰশাসনিকের হেনস্তার মুখে পড়তে হবে না। তাদের নাগরিকত্বের সব অধিকার থাকবে। আত্মপক্ষ সমৰ্থনের পুরো সুযোগ পাবে। ডিজিপি কুলধর শইকিয়া বলেন, রাজ্যের জেলাগুলিতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। স্পৰ্শকাতর এলাকাগুলিতে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানো হয়েছে। বরাকে তিন জেলা সহ নিম্ন অসমে বেশ কিছু জেলাকে স্পৰ্শকাতর জেলা হিসাবে চিহিত করে কয়েটি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আসুর উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচাৰ্য জানিয়েছেন, যাদের তালিকা থেকে নাম বাদ পড়বে তাদের নাম অন্তভূক্তের ব্যাপারে আসু সহযোগিতা করবে। চর-চাপরি সাহিত্য পরিষদ, অসমের পক্ষে প্ৰচার সচিব সুলতান মাহমুদ মিৰ্ধা রাজ্যে শান্তি শৃঙ্খলা অক্ষুন্ন রাখার আহবান জানিয়ে বলেছেন, পরিস্থিতির অবনতি ঘটে এমন কোনও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য থেকে বিরত থাকা হয়। গুয়াহাটি পুলিশ কমিশনার হীরেণ নাথ গুয়াহাটি মহানগরের ২২টি এলাকাকে স্পৰ্শকাতর হিসাবে চিহিত করা হয়েছে। ফেসবুক, হোয়াটস আপ প্ৰভৃতি সোসাল মিডিয়ায় আপত্তিজনক পোষ্ট দেওয়া হলে কড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বরাক উপত্যকার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব তথা অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ৰাক্তন উপাচাৰ্য তপোধীর ভট্টাচাৰ্য এবং আকসার প্ৰাক্তন নেতা প্ৰদীপ দত্ত রায়কে গতকাল অসম সরকার আমন্ত্ৰণ করে গুয়াহাটিতে আনিয়েছিলেন, তাদের বলা হয়েছিল গৃহ দপ্তরের অফিসাররা তাদের সঙ্গে কথা বলবেন, আজ তারা ফিরে গেছেন শিলচরে। শিলচর থেকে দত্ত রায় জানান তাদের সঙ্গে কারোর আলোচনায় হয় নি। আজ মানকাচড়-বাংলাদেশ সীমান্তে ৫২ জন বাংলাদেশীকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.