Header Ads

৩০-শে জুলাই রাজ্যের ধৰ্মীয় ভাষিক সংখ্যালঘু মানুষের ভাগ্য বিচার

শীৰ্ষস্থানীয় ইংরেজি ম্যাগাজিনের দাবি কমপক্ষে ২০ লক্ষ মানুষ রাষ্ট্ৰহীন হবে

গুয়াহাটিঃ দেশের মধ্যে এই সৰ্বপ্ৰথম অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর দ্বিতীয় খসড়া তালিকা আগামী ৩০শে জুলাই বেলা ১২টায় প্ৰকাশ পাবে। গত ডিসেম্বরে রাত ১২টায় প্ৰথম খসড়া তালিকা প্ৰকাশ পেয়েছিল। ৩ কোটি ২৯ লক্ষ  মানুষের মধ্যে ১ কোটি ৯০ লক্ষ মানুষের নাম প্ৰথম খসড়া তালিকায় অন্তভূক্ত হয়েছিল। পরে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী কৰ্তৃপক্ষ জানায় প্ৰথম তালিকায় ভুলবশত লক্ষাধিক মানুষের নাম অন্তভূক্ত হয়ে গেছে, এবার তাদের নাম বাদ দেওয়া হবে। রাজ্যের ধৰ্মীয় এবং ভাষিক সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মানুষ গভীর উদ্বেগের মধ্যে আছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল আজ গোয়ালপাড়ায় পুনরায় প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েছেন, এন আর সি তালিকায় বাদ পরা মানুষদের ভয় ও আতঙ্কগ্ৰস্থ হওয়ার কোনও কারণ নেই। তাদের আত্মপক্ষ সমৰ্থনের পুরো সুযোগ দেওয়া হবে। সরকার তাদের পাশে আছে। রাজ্যের ডিজিপি কুলধর শইকিয়াও জানিয়েছেন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্ৰণের সব ধরণের ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হয়েছে, চিন্তার কোনও কারণ নেই। রাজ্যে ২২০ কোম্পানিকে মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে আজ দেশের অন্যতম শীৰ্ষস্থানীয় ইংরেজী পত্ৰিকা ‘ইণ্ডিয়া টুডে' আগামী ৬ আগষ্ট প্ৰকাশিতব্য সংস্করণে আগাম জানিয়েছে, ‘অসমে কম পক্ষে ২০ লক্ষ মানুষের নাম এন আর সি তালিকা থেকে বাদ পড়ার সম্ভাবনা আছে, নাগরিকত্বের অধিকার, ভোটাধিকার এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হতে পারে। রাজ্যের সীমান্ত অঞ্চলের অবস্থা অত্যন্ত অগ্নিগৰ্ভ'। দেশের অন্যতম প্ৰধান ইংরেজি ম্যাগাজিন ‘আউটলুক'এর ৬ আগষ্ট সংস্করণে আগাম ‘দাবি করা হয়েছে ৩০ থেকে ৫০ লক্ষ সংখ্যালঘু মানুষের নাম এন আর সি তালিকা থেকে বাদ পড়ার সম্ভাবনা আছে। আরও প্ৰশ্ন তারা যাবে কোথায়?' মণিপুর, নাগাল্যাণ্ড, মেঘালয় সরকারও আগামী ৩০-শে জুলাই-র দিকে তাকিয়ে আছে। মণিপুর সরকার ২০৫১ সালের পর আসা অমণিপুরিদের সে রাজ্যে বসবাসের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আইন আনতে চলেছে। সেই রাজ্যে দীৰ্ঘ বছর ধরে বসবাসকারী অমণিপুরিবিশেষ করে বাঙালি মুসলিমরা নাগরিকত্ব বাতিল সংক্ৰান্ত আইনের প্ৰতিবাদে মিছিল করলে আজ মণিপুরের জিরিবাম অঞ্চল অশান্ত হয়ে উঠে। পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস প্ৰয়োগ ও লাঠি চাৰ্জ করতে হয়। কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছে। এ দিকে মেঘালয়ও অবৈধ অনুপ্ৰবেশ রোধ করার লক্ষ্যে খাসিয়া পাহাড় স্বায়িত্ব শাসিত পরিষদ আইন করে অখাসিয়াদের বিয়ে করার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আইন করতে চলেছে। সে আইনে কোনও মহিলা অখাসিয়াকে বিয়ে করলে তাদের সমাজচূ্যত করা হবে বলে পরিষদ কৰ্তৃপক্ষ সতৰ্ক করে দিয়েছে। শিলং থেকে প্ৰাপ্ত খবরে আজ এ কথা জানা গেছে। এই সব রাজ্যের একটায় লক্ষ্য অবৈধ অনুপ্ৰবেশ প্ৰতিরোধ। তাদের আশঙ্খা অসমে এন আর সিতে বাদ পরা মানুষগুলি তাদের রাজ্যে গিয়ে আশ্ৰয় নেবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.