Header Ads

প্ৰায় ৫ লক্ষ ‘ডি' ভোটারের পরিবার পরিজন সন্তান-সন্তুতিদের নাম বাদ পড়বে আশঙ্খা আমসু, ফেডারশনের


জনিয়া থানার পুলিশ অফিসারও ‘ডি' ভোটার 

গুয়াহাটিঃ অসমে ১৯৯৭ সালে তদানীন্তন মুখ্য নিৰ্বাচনী অফিসার টি এন সেশন-এর সময়ে রাজ্যে ডাউটফুল / ডিসপিউট অৰ্থাৎ ‘ডি' ভোটারের সূত্ৰপাত হয়েছিল। জাতীয়তাবাদী সংগঠনগুলোর দাবি মেনে টি এন সেশন নিৰ্দিষ্ট কয়েক দিনের মধ্যেই লক্ষ লক্ষ সন্দেহজনক মানুষের নামের পাশে ‘ডি' চিহিত করে তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নিৰ্দেশ দিয়েছিলেন। নিৰ্বাচনী অফিসার কৰ্মীরা তড়িঘড়ি করে চট্টোপাধ্যায়, ভট্টাচাৰ্য, দাস, মুখাৰ্জি, ব্যানাৰ্জি, হোসেইন, আলী, খান, চৌধুরী, লস্কর, বরভূইঞা প্ৰভৃতি ভাষিকও ধৰ্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে রাতারাতি ‘ডি' ভোটার বানিয়ে দেওয়া হয়। প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈ তার ১৫ বছরের শাসনকালে ‘ডি' ভোটার নিমূল করার কোনও চেষ্টায় করেন নি। অথচ তিনি আজও বলছেন, ‘ডি' ভোটারদের অধিকাংশ ভারতীয়। দোষারোপের আঙুল তুলছেন বিজেপির উপর। ৩ লক্ষ ১৩ হাজার ‘ডি' ভোটার থেকে বৰ্তমানে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৬ হাজার। রাজ্যের এন আর সি সমন্বয়ক প্ৰতীক হাজেলার পরামৰ্শ ক্ৰমে সুপ্ৰীমকোৰ্ট ‘ডি' ভোটারদের পরিবার পরিজন এবং সন্তান-সন্তুতিদের নামও এন আর সি তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ট্ৰাইব্যুনালে নিস্পত্তি না হওয়া পৰ্যন্ত নামগুলি ‘হোল্ড' করে রাখার নিৰ্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগ আসছে সাদা কাগজে সীল মোহর ছাড়াই  ‘ডি' ভোটার লিখে নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। বৰ্তমানে ১ লক্ষ ২৬ হাজারসহ পরিবারের ৪-৫জন করে ধরলে সৰ্বমোট ৪.৫-৫ লক্ষ নাম এন আর সি তালিকা থেকে বাদ পড়ার আশঙ্খা করেছে আমসু এবং সারা আসাম বাঙালি যুব ছাত্ৰ ফেডারেশন। তাদের অভিযোগ ১৯৯৭ সাল থেকে সংবিধানপ্ৰদত্ত ভোট দানের মৌলিক অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। রাজ্যের সরকারী কৰ্মচারি, পুলিশ, কেন্দ্ৰীয় সরকারের কৰ্মচারিদের একাংশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আছে। আজ খবর পাওয়া গেল জনিয়া থানার এক পুলিশ অফিসারের নামেও ‘ডি' ভোটারের নোটিস এসেছে। অসম বিধান সভার প্ৰথম উপাধ্যক্ষ ছিলেন মৌলবী মহম্মদ আমির উদ্দিন, তিনি ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৪৬ সাল পৰ্যন্ত বিধানসভার ডেপুটি স্পীকার পদে ছিলেন। তার বংশধরদের নামেও বিদেশী ট্ৰাইব্যুনালের নোটিস এসেছে। বেশ কয়েকজনকে ‘ডি' ভোটার বানানো হয়েছে। পূৰ্ব নগাঁওয়ের নিৰ্দলীয় বিধায়ক মৌলবী মহম্মদ আমির উদ্দিন সেই সময় ১৯৩৭ সালে জমিয়ত উলেমা হিন্দের তিন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে দেশ ভাগের সময় অসমকে ভারতের অন্তভূক্তির সমৰ্থনে গোপীনাথ বরদলৈয়ের আন্দোলনকে সমৰ্থন করেছিলেন। তাদের সেই আন্দোলনের জোরেই মুসলিম লীগের প্ৰয়াস ধাক্কা খায়। পূৰ্ব পাকিস্তানের অভূক্তি থেকে রক্ষা পায় অসম। সেই প্ৰাক্তন উপাধ্যক্ষ মৌলবী মহম্মদ আমির উদ্দিনের ভাইপো হাবিবুল ইসলাম, এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন– অসমের ক্ষেত্ৰে যাদের এত অবদান তাদেরকেও ‘ডি' ভোটারের নামেও নোটিশ পাঠিয়ে হেনস্থা করছে  এন আর সি কৰ্তৃপক্ষ।  

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.