Header Ads

ডিটেনশন ক্যাম্পগুলিতে মানবাধিকার লঙিঘত হচ্ছেঃ প্ৰদ্যুৎ বরদলৈ


গুয়াহাটিঃ প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈ রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষুদ্ৰ জনগোষ্ঠীর আৰ্থ সামাজিক উন্নয়ন সুনিশ্চিত করার লক্ষে বিভিন্ন স্বায়ত্বশাসিত পরিষদ গঠন করে ছিলেন। রাজ্যে বিভাজন আনার জন্য নয়। আজ কংগ্ৰেসের মুখপাত্ৰ প্ৰদ্যুৎ বরদলৈ সাংবাদিক সন্মেলন ডেকে এই মন্তব্য করে বলেন, আর এস এস এবং বিজেপি তরুণ গগৈর বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে অভিযোগ করে যাচ্ছে। বিজেপি আর এস এস-র একটিই এ্যজেণ্ডা– ‘অখণ্ড ভারত-এক ভাষা (সংস্কৃত বা হিন্দী) এক ধৰ্ম (কেবল হিন্দু)'। দেশে সাম্প্ৰদায়িক সম্প্ৰীতি বিনষ্ট করার লক্ষ্যে আর এস এস ‘অতিভক্তি প্ৰাণ' হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মার মতো মানুষকে কাজে লাগাচ্ছে। গোপীনাথ বরদলৈর উদ্যোগে কংগ্ৰেস সংবিধানের ষষ্ঠ অনুেচ্ছদ ব্যবস্থা কায়েম করে দেশের অনগ্ৰসর উপজাতি মানুষদের সাংবিধানিক রক্ষাণা বেক্ষণের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। প্ৰাক্তনমন্ত্ৰী প্ৰদ্যুৎ বরদলৈ অভিযোগ করেন, রাজ্যে ৬টি ডিটেনশন ক্যাম্পে সন্দেহজনক মানুষদের আটকে রাখা হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্ৰে একপক্ষীয় রায়ের ফলে তাদের বিদেশী সাজানো হয়েছে। এই ভাবে বছরের পর বছর ডিটেনশন ক্যাম্পে আবদ্ধ করে রেখে মানবাধিকার লঙঘন করা হচ্ছে। বন্দীদের আত্মপক্ষ সমৰ্থনের সুযোগ এবং আইনী সহায়তা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন। প্ৰাক্তন মন্ত্ৰী প্ৰদ্যুৎ  বরদলৈ ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক বিশেষ করে মহিলা বন্দীদের সুযোগ সুবিধার দেওয়ার দাবি জানান। গতকাল বঙ্গাইগাঁওয়ের ১৪ সংগঠনকে নিয়ে গঠিত ‘বেঙ্গলি ইউনাইটেড ফোরাম' ডিটেনশন ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। প্ৰসংগত প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদিও অসমের নিৰ্বাচনী প্ৰচারে এসে ডিটেনশন ক্যাম্পগুলি বন্ধ করে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন, রাজ্যের ৬ টি ডিটেনশন ক্যাম্পে আছে ৯৮৬ জন বন্দী।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.