Header Ads

১৯৭১ সালের ২৪ মাৰ্চের আগের ভোটার তালিকাকেই নাগরিকত্বের বৈধ তালিকা হওয়া উচিতঃ প্ৰফুল্ল কুমার মহন্ত


কিসের ভিত্তিতে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার মানুষের নাম বাদ দেওয়ার কথা বলা হচ্ছেঃ তরুণ গগৈ 
গুয়াহাটিঃ জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর (এন আর সি) প্ৰথম খসড়া তালিকায় প্ৰকাশিত ১ কোটি ৯০ লক্ষ মানুষই প্ৰকৃত ভারতীয় নাগরিক, সম্পূৰ্ণ শুদ্ধ নিখুত তালিকা বলে এন আর সি সমন্বয়ক প্ৰতীক হাজেলা এবং সৰ্বানন্দ সনোয়াল নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার বার বার দাবি করেছিলেন। কিন্তু সুপ্ৰীমকোৰ্টের শুনানির সময় দাবি করা হলো প্ৰথম তালিকায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার নাম সন্দেহজনক, তাদের নাম বাদ দেওয়া হবে। রাজ্যের সংখ্যালঘু মানুষ প্ৰশ্ন তুলেছে কিসের ভিত্তিতে দাবি করা হচ্ছে প্ৰথম তালিকা অশুদ্ধ? এন আর সি নবায়ন নিয়ে রাজ্যের সংখ্যালঘু মানুষগুলিকে চরম হেনস্থা করা হচ্ছে, নাম বাদ দেওয়ার সময় আবার হেনস্থা শুরু হবে। শত বছরের বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকেও নাগরিকত্ব প্ৰমাণের জন্য এন আর সি সেবা কেন্দ্ৰে ডেকে পাঠানো হচ্ছে। এবং ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হচ্ছে। বরাক উপত্যকাই ১০২ বছরের বৃদ্ধ চন্দ্ৰধর দাসকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছিল। করিমগঞ্জ জেলার রবীন্দ্ৰ নমশূদ্ৰ নামে ৯০ বছরের এক বৃদ্ধকে এন আর সি সেবা কেন্দ্ৰে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ১০২ বছরের চন্দ্ৰধর দাসকে ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার খবর শুনে এবং চন্দ্ৰধর দাসের ছবি দেখে প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী প্ৰফুল্ল কুমার মহন্ত আজ অবাক হয়ে যান- তিনি প্ৰশ্ন তোলেন, জেলা প্ৰশাসন কি নূন্যতম দায়িত্ব পালন করছে না? এর ফলে মানবাধিকার লঙিঘত হচ্ছে তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। রাজ্যে ব্যাপক হারে সংখ্যালঘুদের হেনস্থার খবরের উদ্বেগ প্ৰকাশ করে দু-দুবারের প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী প্ৰফুল্ল কুমার মহন্ত বলেন, ১৯৭১ সালের ২৪ মাৰ্চের আগের ভোটার তালিকায় নাম থাকলেই সরকারকেই নাগরিকত্ব প্ৰদানের ব্যবস্থা করা উচিত। বিনা কারণে হেনস্থা করা উচিত নয়, সুপ্ৰীমকোৰ্টের রায়ের ফলে রাজ্যের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর হেনস্থা হওয়ার সম্ভাবনায় বেশি সেই আশঙ্খার জবাবে আজ গুয়াহাটি সাৰ্কিট হাউসে মহন্ত বলেন, ১৯৭১ সালের ২৪ মাৰ্চের ভোটার তালিকায় নাম থাকলেই তাদের প্ৰকৃত ভারতীয় নাগরিক হিসাবে গণ্য করা উচিত। কোনভাবেই মানবাধিকার লঙঘন করা উচিত নয়।
অপরদিকে প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈ আজ প্ৰশ্ন তোলেন, রাজ্যে মাত্ৰ ৩ টি জেলা বন্যায় প্লাবিত হলো তবে কেন এন আর সি তালিকা প্ৰকাশে বিলম্ব ঘটানো হলো? একবার প্ৰকাশিত তালিকা কেন বলা হচ্ছে অশুদ্ধ? কিসের ভিত্তিতে বলা হচ্ছে ১ লক্ষ  ৩৫ হাজার নাম প্ৰথম খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়বে? এক সাংবাদিক সন্মেলনে প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী গগৈর আরও প্ৰশ্ন রাজ্যে যে শুদ্ধ এন আর সি তালিকা প্ৰস্তুত হচ্ছে না, এন আর সি কৰ্ত্তৃপক্ষের বক্তব্যেই তা প্ৰমাণিত হচ্ছে। এন আর সি তালিকা থেকে লক্ষ লক্ষ সংখ্যালঘু মানুষের নাম বাদ পড়বে বলে আশঙ্খা করা হচ্ছে। বিদেশী ঘোষিত মানুষগুলি কোথায় যাবে? তাদের ভাগ্যে কি ঘটবে? নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সম্পৰ্কে প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী গগৈ বলেন, শিল্পী, সাহিতি্যক থেকে শুরু করে আপামর মানুষ এই বিলের বিরোধিতা করেছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল বিস্ময়কর চুপ কেন? নিজস্বতা বলে কিছু নেই কেন্দ্ৰের জনবিরোধী নীতির কাছে আত্মসমৰ্পণ করেছেন সৰ্বানন্দ।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.