Header Ads

১৯৬৪ সালের বিদেশী ট্ৰাইব্যুনাল আইন সংশোধন ঘটিয়ে তালিকা থেকে বাদ পরা ব্যক্তিদের অনেকটা স্বস্তি


এন আর সি তালিকা প্ৰকাশের কাউণ্ট ডাউন শুরু, প্ৰশাসন প্ৰস্তুত, নিরাপত্তা জোরদার

গুয়াহাটিঃ কাউণ্ট ডাউন শুরু হয়ে গেছে আর মাত্ৰ ৬ দিন বাদে বহু প্ৰত্যাশিত, বহু চৰ্চিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর দ্বিতীয় খসড়া তালিকা প্ৰকাশ পাবে। মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল আজ বরাক উপত্যকা সফরে গিয়ে অভয় দিয়ে এসেছেন, নাগরিকপঞ্জীতে নাম না থাকলেও ভয় পাওয়ার কিছু নেই। নাম অভূক্তের বহু সময় দেওয়া হবে। কিন্তু তার পরেও রাজ্যের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে এন আর সি তালিকা প্ৰকাশকে কেন্দ্ৰ করে ভয় ও আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্য পুলিশ প্ৰধান কুলধর শইকিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ প্ৰধান পল্লব ভট্টাচাৰ্য বলেছেন, রাজ্যের প্ৰতিটি জেলায় নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অতিরিক্ত বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। তবে দেশ বিদেশের নানা ষড়যন্ত্ৰের আভাস পােচ্ছ রাজ্য পুলিশ। গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার হীরেণ নাথ এবং কামরূপ (মেট্ৰো) ডেপুটি কমিশনার বীরেন্দ্ৰ মিট্টাল আজ গুয়াহাটি মহানগরের পাণ্ডু, মালিগাঁও সহ বিভিন্ন জায়গায় সজাগতা সভা করে এন আর সি কে কেন্দ্ৰ করে কোনও ধরণের মিথ্যা গুজব না ছড়ানোর আৰ্জি জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্ৰী গতকাল কেবিনেট কমিটির বৈঠকে রাজ্যের জেলা প্ৰশাসনকে একই ধরণের সজাগতা সভা করার জন্য এবং শান্তি সম্প্ৰীতি অক্ষুন্ন রাখার স্বাৰ্থে সব ধরণের প্ৰচেষ্টা চালাবার নিৰ্দেশ দিয়ছেন। এন আর সি প্ৰকাশের কয়েকদিন আগেই কেন্দ্ৰীয় সরকার ১৯৬৪ সালের বিদেশী ট্ৰাইব্যুনাল আইন সংশোধন ঘটিয়ে এন আর সিতে অভূক্ত না হওয়া ব্যক্তিদের অনেকটা স্বস্তি দিলেন। এই সংশোধনী আইন অনুযায়ী নাম না উঠা ব্যক্তিরাও বিদেশী শনাক্তকরণ ট্ৰাইব্যুনালে দ্বারস্থ হয়ে ভারতীয় নাগরিকত্ব প্ৰমাণের সব ধরণের সুযোগ পাবেন। কেন্দ্ৰীয় সরকার শীৰ্ঘ্ৰই এই সংশোধনী আইন কাৰ্যকর করবে। নাগরিকপঞ্জীর সমন্বয়ক প্ৰতীক হাজেলা আজ অভিযোগ করেছেন, পরিকল্পিতভাবে এন আর সির কাজ বানচাল করার জন্য দেশে বিদেশে অপপ্ৰচার চালানো হচ্ছে। তিনি আজ আবার বলেন, যে তালিকা ৩০ তারিখে প্ৰকাশ পাবে তা চূড়ান্ত তালিকা নয়। দ্বিতীয় খসড়া তালিকা প্ৰকাশের পর দাবি আপত্তির জন্য ১ মাস সময় দেওয়া হবে। যাদের নাম তালিকায় থাকবেনা, তারা পুনরায় আগের নথিপত্ৰ দাখিল করেও এন আর সি কেন্দ্ৰে গিয়ে আত্মপক্ষ সমৰ্থনের সুযোগ নিতে পারবেন। এদিকে রাজ্যের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি ড০ হীরেন গোহাঁই নিউইৰ্য়ক কেন্দ্ৰীক নিউজ ওয়েভ পোৰ্টাল ‘আওয়াজ'-এর অপপ্ৰচারের নিন্দা করেন। এই পোৰ্টালটি অভিযোগ করেছে, ‘অসমের ৭০ লক্ষ মুসলিমকে এন আর সি তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দী করা হবে।' ড০ গোহাঁই বলেন, অসমের পরিস্থিতি সম্পৰ্কে জ্ঞান না থাকা পোৰ্টালটি ভিত্তিহীন অভিযোগ করে রাজ্যের সাম্প্ৰদায়িক সম্প্ৰীতি বিনষ্ট করছে। তিনি রাজ্যের পরিস্থিতির জন্য বিজেপি সরকারের সমালোচনা করেছেন। বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি ড০ হীরেন গোহাঁই বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করে প্ৰত্যাৰ্পণ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশীদের সে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করার কথা বলেছেন। সেই লক্ষ্যে স্বাধীন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন। অগপর মন্ত্ৰী তথা রাজ্য সভাপতি অতুল বরা আজ বলেছেন, শুধু এন আর সি তালিকা প্ৰকাশ করলেই হবে না। বাংলাদেশের সঙ্গে বন্দী বিনিময় সংক্ৰান্ত প্ৰত্যাৰ্পণ চুক্তি করে বাংলাদেশীকে সেই দেশে পাঠাতে হবে।  বাংলাদেশীদের দীৰ্ঘ মেয়াদি ভিসা দেওয়ার প্ৰস্তাবেরও বিরোধিতা করেছেন। আমসু, সারা অসম বাঙালি যুব ছাত্ৰ ফেডারেশন সহ রাজ্যের ধৰ্মীয় ও ভাষিক সংখ্যালঘু সংগঠনগুলি অভিযোগ করেছে, রাজ্য সরকার, এন আর সি কৰ্তৃপক্ষ বারবার আস্বস্ত করার পড়েও রাজ্যের ১ লক্ষ ২৬ হাজার ‘ডি' ভোটার এবং তাদের পরিবার সন্তান-সন্ততি, রাজ্যের বিদেশী ট্ৰাইব্যুনালগুলিতে বিচারাধীন ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ব্যক্তির নামও খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়বে। তাই রাজ্যের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মানুষ সরকারের প্ৰতিশ্ৰুতিতে কোনও ভরসা পাচ্ছে না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.