Header Ads

শুধু মাছ নয় খাঁসি, ব্ৰইলার মুরগি, ফলমূল, দুধ, শাক-সব্জীতেও রাসায়নিক ব্যবহার



নিষেধাজ্ঞা সত্বেও বিষাক্ত ফরমালিন মাখানো মাছ বিক্ৰি চলছে
গুয়াহাটিঃ প্ৰতিবেশী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপকহারে ভাগাড়ের মাংস বিক্ৰি, রাজ্যেবাসীকে স্তম্ভিত করেছিল। মৃত গরু, ছাগল, কুকুর প্ৰভৃতি মৃত জন্তু ভাগাড়ে ফেলে দেওয়ার পর তা কেটে ডিপ ফ্ৰিজে সংরক্ষণ করে রেখে বিক্ৰি করার অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গে বহু অসাধু ব্যবসায়ীকে গ্ৰেফতার করা হয়েছিল। বছরের পর বছরধরে সুদূর অন্ধ্ৰপ্ৰদেশ, উত্তর প্ৰদেশ প্ৰভৃতি রাজ্য থেকে বিষাক্ত ফরমালিন মাখানো বিভিন্ন মাছ অসম তথা উত্তর পূৰ্বাঞ্চলে আমদানি হচ্ছে। তা আজ পৰ্যন্ত কাউকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে বলে শোনা যায় নি। মৰ্গে ব্যবহৃত মৃত দেহ সংরক্ষণের জন্য বিষাক্ত ফরমালিন ব্যবহার করা হয়, সঙ্গে বিষাক্ত ইনজেকশনও দেওয়া হয়। পাকস্থলি এবং ক্যান্সার রোগের সম্ভাবনা থাকা বিষাক্ত ফরমালিন মাখানো মাছ বিক্ৰির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সম্ভবত এই প্ৰথম বিজেপি সরকার অভিযান শুরু করে অসাধু ব্যবসায়ীদের ৭ বছর জেল এবং ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করার কথা ঘোষণা করেছে। স্বাস্থ্য প্ৰতিমন্ত্ৰী পীযুষ হাজরিকার এই ঘোষণার পরেও আজ রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে যথারীতি ফরমালিন মাখানো মাছ বিক্ৰির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরাক উপত্যকায় এই ঘোষণার কোনও প্ৰভাবই পড়ে নি বলে খবর এসেছে। আজ ডিব্ৰুগড়, গোলাঘাট, কোকরাঝাড়, ডিমৌ এবং বরাকের শিলচর, করিমগঞ্জ বাজারে ফরমালিন মাখানো অন্ধ্ৰপ্ৰদেশের চালানি মাছ বিক্ৰি হয়েছে। ধুবড়ি শহরে আজ ফরমালিন মাখানো সাড়ে তিন কুইণ্টাল মাছ উদ্ধার করে নষ্ট করে ফেলা হয়।  নাগাল্যাণ্ড সরকার ইতিমধ্যে অন্ধ্ৰপ্ৰদেশের চালানি মাছ বিক্ৰির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। অসম সরকার ১০ দিনের জন্য চালানি মাছ আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু শাসক দলের আনুকূল্যে চলা মাছের সিণ্ডিকেট অত্যন্ত শক্তিশালী তা বন্ধ করা সহজ কথা নয় বলে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ। শুধু মাছেই নয় খাঁসি কাটার আগে রাসায়নিক নেফথলিন খাওয়ানোর পরে বিষাক্ত ইনজেকশন দেওয়া হয়, ব্ৰইলার মুৰ্গীর সাইজ বড় করার জন্যও ইনজেকশন দেওয়া হয়। গুয়াহাটি মহানগরে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ব্যাপকহারে ইউরিয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। মুড়িতেও ব্যাপকহারে ইউরিয়া ব্যবহারের অভিযোগ এসেছে। দুধ, শাক-সব্জী ছাড়াও তেল, মসলা-পাতি, আম-কলা, আপেল, তরমুজ প্ৰভৃতিতেও কাৰ্বাইড এবং অন্যান্য রাসায়নিক দ্ৰব্য ব্যবহার করা হচ্ছে। খারুপেটীয়া, মিসামারি এবং বরপেটার কিছু অঞ্চলে সবুজ শাক-সব্জী উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ব্যাপকহারে রাসায়নিক দ্ৰব্য ব্যবহার করা হচ্ছে বলে নানা অভিযোগ আসছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য প্ৰতিমন্ত্ৰী পীযুষ হাজরিকা পল্টন বাজার অঞ্চলের রেস্তোরাগুলি পরিদৰ্শন করে জঘন্য অস্বাস্থ্যকর খাবার-দাবার দেখে তা অবিলম্বে নিয়ন্ত্ৰণ করার কড়া নিৰ্দেশ দিয়েছেন। বেশ কিছু মিষ্টির দোকানে ভেজাল ধরা পড়েছে। জনগণের মধ্যে সচেতনতা ও সজাগতা বৃদ্ধি না হলে সরকারের পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.