Header Ads

'এন আর সি' নিয়ে কোনো হেলদোল নেই কলকাতার মিডিয়ায়, ব্যতিক্রম মুখ্যমন্ত্রীই

দেবকিশোর চক্রবর্তী, কলকাতাঃ নাগরিক পঞ্জি নিয়ে  অসমের বাঙালিরা বিগত কয়েক মাস ধরে রীতিমতো ত্রস্ত ও শংকিত। শুধু তাই নয়, মানসিক উৎকণ্ঠার মধ্যে কাটছে তাঁদের একেকটি দিন। অথচ বিশ্ময়কর ভাবে প্রতিবশী রাজ্যের এই বিপুল সংখ্যক বাঙালির এহেন সংকটের কোনো সংবাদই  প্রকাশিত হচ্ছে না বঙ্গের সংবাদ মাধ্যমে। বিশ্ব বাঙালির সাংস্কৃতিক রাজধানী কলকাতার মিডিয়া মহলের এহেন নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে কলকাতায় বসবাস করা উত্তর পূর্ব ভারতের বাঙালিদের একটা বড় অংশ তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে, প্রতিবেশী রাজ্যের বাঙালিদের সংকটে কলকাতার পাশে থাকাটা খুব প্রয়োজন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বংশবৃক্ষ (নাগরিক পঞ্জির নয়া তালিকা) নিয়ে অসমের বাঙালিদের দস্তুরমতো অপদস্থ করা হচ্ছে। দিনের পর দিন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে তাঁদের নাগরিকত্ব নিয়ে।কথায় কথায় 'ডি-ভোটারের' তকমা দিয়ে তাঁদের ওপর চলছে মানসিক নির্যাতন।শুধু তাই নয়, নাগরিকত্বের প্রশ্ন তুলে প্রবীণ বাঙালিদেরও জোর করে পাঠানো হচ্ছে মানব খোয়াড়তুল্য 'ডিটেনসন ক্যাম্পে। অথচ বিশ্ময়ের ব্যাপার ওই সব হতভাগ্য প্রবীণদের অনেকেই দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে অসমে বসবাস করছেন। দু:খের কথা, কলকাতার বাঙালি মহলের একটা বড় অংশই এই অসম্মানের কথা জানেন না। আর এখানকার সংবাদ মাধ্যমও সে খবর জানতে দেয় না। তবে সুখের কথা, কলকাতার মিডিয়া মুখ ঘোরালেও শুরু থেকেই অসমের ভূক্তভোগি বাঙালিদের সমর্থন জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শুরু থেকেই বলে আসছেন, নাগরিকত্বের প্রশ্ন তুলে এ ধরনের অসম্মান সমর্থনযোগ্য নয়। খবরে প্রকাশ, সম্প্রতে অসমের বাঙালিদের এক প্রতিনিধি দল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়নি। তবে মমতার ছায়াসঙ্গী মন্ত্রী ফিরাদ হাকিমের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.